Sunday 30 January 2022

আমার ফুলটা পরীর মতো।।

এক অদ্ভুত সিষ্টেমের মধ্য দিয়ে বয়সটা বাড়তেছে। দিনদিন ছেলেমানুষি বেড়েই চলছে। স্ট্রং হওয়ার পরিবর্তে উইক হওয়াটা মোটেও নরমাল ব্যাপার না। 

বাচ্ছাদের মতো বায়না করার বয়স নেই এটা বুঝি, তবুও একগাদা আশা নিয়ে বায়না করে বসি। খুব ঠুনকো জিনিসের প্রতি বায়না। মাঝরাতে প্রেমিকাকে ফোন দিয়ে একটা ভার্চুয়াল চুমুর বায়না, প্রতিরাতে স্রষ্টার কাছে চাঁদ দেখতে চাওয়ার বায়না, বাগানের উত্তরপাশের মৃত ফুলগাছটার কাছে একটা ফুল ফোটানোর বায়না, লোডশেডিং ছাদে আলো দেয়ার জন্য জোনাকির কাছে বায়না। এসবের মধ্যে কোনটা সম্ভব কোনটা অসম্ভব সেটার হিসেব মেলাতে হিমশিম খেয়ে যাই।

একসময় সব সহজ মনে হতো। আমার মনে পড়ে, অনেকদিন আগে আমি তখন সবেমাত্র তৃতীয় শ্রেণীতে। আমার এক আত্মীয়ের মৃত্যুতে সবাই খুব কাঁদছিলো কিন্তু আমার কান্না পায়নি, আমার কাছে ব্যাপারটা হলো, "সবাই তো মরবে এটা একদম চিরন্তন সত্য এটা নিয়ে তো কান্না করার কিছুই নেই" অথচ এখন..............থাক ওসব!! 

যতই সময় গড়াচ্ছে সবকিছু এখন কঠিন হয়ে যাচ্ছে, চারপাশের মানুষগুলোও আগের মতো নেই। খুব কাছের কয়েকজন নিয়ম করে কুশল-বিনিময় করে। কখনো কখনো আমার কাছেও এসবকিছু ওভার এক্টিং মনে হয়, আমি তাদেরকে ইগনোর করে ফেলি আবার ভাবি ওরা অন্তত খোঁজ নিচ্ছে কিন্তু খুব যতনে রাখা ফুলদানীর প্রিয় ফুলটা হারিয়ে যাবার পর একদিনও তো আমাকে নিয়ে ভাবেনি।

এখন আরো একটা ফুল খুঁজে পেয়েছি, ফুলটা পরীর মতো। আমি সেটাকে হারিয়ে ফেলার ভয়ে একটু বেশিই সাবধানে থাকি নজরে রাখি। ফুলটা মাঝে মাঝেই কেমন জানি বিমূর্ত হয়ে একসমুদ্র প্রশ্নভরা চোখে আমার দিকে তাকিয়ে থাকে। আমি তার প্রশ্নের উত্তর দেয়ার বদলে তার চোখের সমুদ্রে হারিয়ে যাই। 

আমার একটা ফুল আছে, ফুলটা পরীর মতো।

No comments:

Post a Comment

চারুর স্মৃতিপট এর কিছুকথা

- যেদিন আকাশে অনেক তারা ছিল সেদিন তুমি আমাকে ঘুম থেকে উঠিয়ে মধ্যরাতে ছাদে নিয়ে দাঁড় করিয়ে রেখেছিলে। তুমি গোধূলি ভালোবাসতে, কৃষি কলেজের ঘাঁষগ...