Monday 20 February 2023

how to become a successful seller on Fiverr?

 1. Create a professional profile: Create a professional profile that accurately reflects your skills and experience. Make sure to include a professional profile photo, portfolio showcase, and customer feedback.


2. Choose the right gigs: Choose gigs that are related to your experience and that you can deliver with quality. Dont forget to check out the competition and adjust your gig prices accordingly. 3. Promote your gigs: Promote your gigs on social media, and dont forget to use the Fiverr forums and other
online platforms. 4. Provide top-notch customer service: Provide fast and friendly customer service and always deliver high-quality work. 5. Ask for customer reviews: Dont be afraid to ask your customers for reviews, as these will help you to build a positive reputation and attract more customers. 6. Use Fiverr Pro: Fiverr Pro is a great way for experienced Fiverr sellers to showcase their work to a larger audience. 7. Offer discounts and incentives: Offer discounts and incentives to encourage customers to buy from you. 8. Keep learning: Keep up to date with the latest trends and developments in the field. This will help you

Wednesday 21 September 2022

প্রত্যাবর্তন

একদিন খুব ভোরে জানালার বাইরে বৃষ্টি হবে। বৃষ্টি আমাকে ছুঁতে পারবেনা, আমি আলতো করে ছুঁয়ে দিবো বৃষ্টিকে। একটু পর বৃষ্টি থামলে আমি ঘুমিয়ে পড়বো, একটু ভিন্নধর্মী ঘুম। জেগে উঠবো এক ভুতুড়ে মরুভূমিতে; সহস্র সূর্য থাকবে চারিদিকে তবুও অন্ধকারে আমি তোমাকে খুঁজে পাবো না, খুঁজে পাবো না তোমাদের কাউকে। একদিন আমার দিন ফুরিয়ে যাবে শুধুই রাত গুলোই থাকবে, কারন এখন তো আমার দিনরাত সবই দিনের মতো। আমি জেগে থাকি সবার মাঝে, আমি জেগে থাকি নিজের মাঝে। সেদিন হয়তো এই শহরের কাকেরা তোমাদেরকে আমার প্রস্থানের সুসংবাদ দিবে। আমার প্রস্থানই কি তোমাদের জন্য সুখকর নয়? তবে কেনো আমাকে কৌশলে ঠেলে দিচ্ছ মানবপুরীর অদূরে? একদিন তোমাদের শ্মশানে পোড়ানোর মতো কোনো মৃতদেহ আসেবনা, থাকবেনা কোনো কবর খোঁড়ার ব্যস্ততা। আমার প্রস্থান ই হবে এই জমিনের সর্বশেষ কোনো মানবের প্রস্থান। তোমরা বেঁচে থাকবে তোমাদের নোংরা জীবন নিয়ে যে জীবনে থাকবেনা প্রকৃত হৃদয়ের কেউ যারা মানুষকে আপন করে নিতে চায় সবকিছু ভুলে গিয়ে। কি ভেবেছো, এসবই সত্য হবে? তবে জেনে রেখো আমি ফিরে আসবো এক কুৎসিত রূপে যা দেখে আমার প্রজায়িনী ছাড়া আর সবাই বমি করতে করতেই মারা যাবে। আমি আসবো এযাবৎকালের সবচেয়ে নিকৃষ্ট হৃদয় নিয়ে যা তোমাদেরকে প্রজ্বলিত করবে হাবিয়া'র থেকেও ভয়ংকর কোনো নরকের অগ্নিতে। সেদিন প্রেয়সীকে দেয়ার মতো আর কোনো Rhododendron ফুটবে না।

Sunday 30 January 2022

জন্মদিনের উপহার

: দিদি, তোর অফিস থেকে ফিরতে কতক্ষন লাগবে? (ভাঙা পা নিয়ে খাটের উপর আধশোয়া অবস্থায় ফোন টিপতে টিপতে রিতুকে জিগ্যেস করলো রাতুল)
: বিকেল হবে। কেনো কিছু লাগবে তোর?
: এই নে পঞ্চাশ টাকা, আমার জন্য পাঁচটা গোল্ডলিফ সিগারেট আনিস।
: আমি মেয়ে মানুষ হয়ে তোর জন্য সিগারেট কিনবো ভাবলি কিভাবে?
: কেনো আমি ছেলে হয়ে তোর জন্য ন্যাপকিন কিনি না?
: সেটা তো আমার প্রয়োজন।
: হ্যাঁ, এটাও আমার তেমন প্রয়োজন। আনবি কিনা বল?
: না পারবো না।

মন খারাপ হয়ে গেলো রাতুলের, আজ যদি নিজে সুস্থ থাকতো তাহলে আর এতো সমস্যা হতো না। তার উপর বাসায় আম্মুকে লুকিয়ে সিগারেট খাওয়াটাও একটা ঝামেলা। কিন্তু সিগারেট ছাড়াও চলবে না। কয়েকদিন আগে তার এক বন্ধু (শুভ) এক প্যাকেট এনে দিলো আর দুইটা আছে, কোনোরকম দিনটা কাটানো যাবে। রাতে কি হবে? শুভও চলে গেলো ট্যুরে। কিভাবে কি করবে মাথায় আসতেছেনা। এদিকে রিতু আর কিছুক্ষণের মধ্যে বের হয়ে যাবে।

আবার বললো রাতুল,
: দেখ, সবসময় তোকে আমি হেল্প করছি। আম্মুর বকা থেকে অনেকবার বাঁচিয়েছি, তুই যখন বলতি আমি দোকান থেকে এটা ওটা এনে দিতাম। এসবের বিনিময়ে কি তুই আমার জন্য এইটুকু করতে পারবি না।(ইমোশনাল হয়ে যাচ্ছে রাতুল)
: ছিঃ রাতুল তুই আমাকে খোঁটা দিচ্ছিস? পারবোনা বলছি, পারবোনা। 
এই বলে বাসা থেকে বের হয়ে অফিসের দিকে ছুটলো রিতু। 

বারান্দায় এসে একটা সিগারেট ধরালো রাতুল। না এই ফ্যামিলিতে আর থাকা যাবেনা, সুস্থ হলেই কোথায়ও চলে যাবো। দরকার হলে কুলি-মজুরের কাজ করবে তবুও এই ফ্যামিলিতে আর না। সেখানে বিলাসিতা না থাকুক অন্তত তিনবেলা সিগারেট খেতে পারবে এটাই অনেক। এই মুহূর্তে রাতুলের মাথায় সিগারেট ছাড়া অন্য কোনো কিছু নেই।

বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হলো, রিতু এখনো বাসায় ফিরেনি। রাতুলের টেনশন হচ্ছে। রাতুল আনাড়ি হয়েই নিজেকে বললো, যে মেয়ে আমার জন্য সিগারেট কিনতে পারবেনা সে আর যেই হোক আমার বোন হতে পারেনা। তবুও নিজেকে সামলাতে পারছে না। বারান্দায় দাঁড়িয়ে রিতুর ফেরার পথে তাকিয়ে আছে। 

একটু পর রিতু এলো, রাতুল কোনো কথা বললো না। নিজের রুমের দরজা বন্ধ করে বসে রইলো। আজ থেকে এই বাড়িতে কারো সঙ্গে কোনো কথা বলবেনা রাতুল। রাতে ভাত ও খায়নি। একটা সিগারেট তিনবারে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লো রাতুল। 

সকালে ঘুম ভাঙলো, ওয়াশরুমে যেতে হবে। রুমের মধ্যে একটা ওয়াশরুম থাকলে অনশনে যাওয়া যেতো। ফ্রেশ হয়ে রুমে এসে দেখলো টেবিলে নাস্তা রাখা। রিতুই রেখে গিয়েছিলো অফিসে যাওয়ার আগে। রাগ ক্ষুধা একসাথে যোগ হলো। কিন্তু রাগকেই প্রাধান্য দিলো রাতুল। নাস্তার প্লেট সরাতে গিয়ে চোখে পড়লো একটা হলুদ রংয়ের চিরকুট। সেখানে লেখা আছে, 
"শুভ জন্মদিন একমাত্র আদরের রাগী ভাই আমার। তোর, জন্মদিনের উপহার টা ছাদের উত্তর পশ্চিম কোনায় রাখা আছে"

একটু উৎসাহী হয়ে রাতুল ছাদে গিয়ে দেখলো, একটা নতুন চকচকে গোল্ডলিফ সিগারেট এর প্যাকেট। সাথে সাথেই পুরো পরিবেশ বদলে গেলো। রাতুলের মনে হতে লাগলো এই বাড়ির সবকিছুই তার ভীষণ আপন, এই বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার কোনো প্রশ্নই আসেনা। যে বাড়িতে জন্মদিনের উপহার হিসেবে এক প্যাকেট সিগারেট পাওয়া যায়, যতকিছুই হোক এই বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার মতো বাড়ি না। 

আমার ফুলটা পরীর মতো।।

এক অদ্ভুত সিষ্টেমের মধ্য দিয়ে বয়সটা বাড়তেছে। দিনদিন ছেলেমানুষি বেড়েই চলছে। স্ট্রং হওয়ার পরিবর্তে উইক হওয়াটা মোটেও নরমাল ব্যাপার না। 

বাচ্ছাদের মতো বায়না করার বয়স নেই এটা বুঝি, তবুও একগাদা আশা নিয়ে বায়না করে বসি। খুব ঠুনকো জিনিসের প্রতি বায়না। মাঝরাতে প্রেমিকাকে ফোন দিয়ে একটা ভার্চুয়াল চুমুর বায়না, প্রতিরাতে স্রষ্টার কাছে চাঁদ দেখতে চাওয়ার বায়না, বাগানের উত্তরপাশের মৃত ফুলগাছটার কাছে একটা ফুল ফোটানোর বায়না, লোডশেডিং ছাদে আলো দেয়ার জন্য জোনাকির কাছে বায়না। এসবের মধ্যে কোনটা সম্ভব কোনটা অসম্ভব সেটার হিসেব মেলাতে হিমশিম খেয়ে যাই।

একসময় সব সহজ মনে হতো। আমার মনে পড়ে, অনেকদিন আগে আমি তখন সবেমাত্র তৃতীয় শ্রেণীতে। আমার এক আত্মীয়ের মৃত্যুতে সবাই খুব কাঁদছিলো কিন্তু আমার কান্না পায়নি, আমার কাছে ব্যাপারটা হলো, "সবাই তো মরবে এটা একদম চিরন্তন সত্য এটা নিয়ে তো কান্না করার কিছুই নেই" অথচ এখন..............থাক ওসব!! 

যতই সময় গড়াচ্ছে সবকিছু এখন কঠিন হয়ে যাচ্ছে, চারপাশের মানুষগুলোও আগের মতো নেই। খুব কাছের কয়েকজন নিয়ম করে কুশল-বিনিময় করে। কখনো কখনো আমার কাছেও এসবকিছু ওভার এক্টিং মনে হয়, আমি তাদেরকে ইগনোর করে ফেলি আবার ভাবি ওরা অন্তত খোঁজ নিচ্ছে কিন্তু খুব যতনে রাখা ফুলদানীর প্রিয় ফুলটা হারিয়ে যাবার পর একদিনও তো আমাকে নিয়ে ভাবেনি।

এখন আরো একটা ফুল খুঁজে পেয়েছি, ফুলটা পরীর মতো। আমি সেটাকে হারিয়ে ফেলার ভয়ে একটু বেশিই সাবধানে থাকি নজরে রাখি। ফুলটা মাঝে মাঝেই কেমন জানি বিমূর্ত হয়ে একসমুদ্র প্রশ্নভরা চোখে আমার দিকে তাকিয়ে থাকে। আমি তার প্রশ্নের উত্তর দেয়ার বদলে তার চোখের সমুদ্রে হারিয়ে যাই। 

আমার একটা ফুল আছে, ফুলটা পরীর মতো।

সময়

সময় আসলেই পরিবর্তনশীল। 

সময়ের সাথে সাথে মানুষের অবস্থার পরিবর্তন হয়, সেই সাথে চারপাশের মানুষেরও পরিবর্তন হয়। একবছর আগে যে মানুষটা আপনাকে সর্বোচ্চ প্রায়োরিটি দিতো এখন সেটা দিচ্ছে কিনা ভেবে দেখুন। দিচ্ছে না?? কেনো দিবে? এখন সে তাদেরকেই গুরুত্ব দিচ্ছে এসময় যাদেরকে তার বেশি প্রয়োজন। হয়তো তখন আপনার প্রয়োজন ছিলো তার কাছে তাই-ই দিয়েছে। এক্সেপ্টেশন বাদ দিন। প্রকৃতি তার নিয়ম রক্ষা করেই চলে। ইতাহাস সর্বদা পুনরাবৃত্তি করে। আবারও একটা সময় আসবে সে তখন আপনার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করবে, সে সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।

কেউই আপনাকে প্রয়োজনের বেশি গুরুত্ব দিবে না। যখন আপনাকে দরকার হবে তখন আপনাকে খুঁজবে, আপনি ইগনোর করলেও চাতক হয়ে অপেক্ষা করবে। 

চারুর স্মৃতিপট এর কিছুকথা

- যেদিন আকাশে অনেক তারা ছিল সেদিন তুমি আমাকে ঘুম থেকে উঠিয়ে মধ্যরাতে ছাদে নিয়ে দাঁড় করিয়ে রেখেছিলে। তুমি গোধূলি ভালোবাসতে, কৃষি কলেজের ঘাঁষগ...